বিপথ গামীদের নিয়ে কেউ কোন গ্রুপিং করার চেষ্টা করবেন না-বেনজীর আহমদ

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৪

ওয়াসিম রাজা:

মঙ্গলবার (০৯জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ধামরাই পৌরসভা কর্তৃক আয়োজিত বিজয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ও নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা প্রদানকালে  ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের নব-নির্বাচিত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ বলেন দলের দুঃসময়ে যারা নৌকা থেকে নেমে গেছে, আমি যতদিন আছি তারা আর কোনদিন নৌকায় উঠতে পারবেনা” এমন মন্তব্য করেছেন এমপি বেনজীর আহমদ।

এসময় তিনি বলেন, জনগণের শক্তির কাছে কোন অপশক্তিই টিকে থাকতে পারে না। যারা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুঃসময়ে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারা কখনো আওয়ামী লীগ হতে পারে না। দুইজনে মিলে যে ভোট পেয়েছে নৌকা মার্কা একাই তাদের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। তাদের একজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কাজেই এটা প্রমান হয়েছে কোন পরগাছা আওয়ামী লীগের দরকার নাই।

  • বেনজীর আহমদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন রাজনীতি করি। অনেক কম্প্রোমাইজ করেছি, অনেক আপোষ করেছি, চুরাই না শুনে ধর্মের কাহিনী। কাজেই বিপথ গামীদের নিয়ে কেউ কোন গ্রুপিং করার চেষ্টা করবেন না, তাদেরকে নিয়ে কোন তদবির করার চেষ্টা করবেন না, তাদেরকে আমার কাছে নিয়েও আসবেন না।

সকল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছি অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাদের রাজাকার আত্মীয়-স্বজনদের জন্য সুপারিশ করেছে। ২০০৮ সালে দেখেছি অনেক বিএনপি জামাতের জন্য সুপারিশ করতে, তাদের চাকুরির জন্য তাদের সুবিধার জন্য ২০১৮ সালেও সুপারিশ করেছে তবে এইবার দয়া করে কেউ এমন কাজ করবেন না। যারা গাড়ীতে আগুন দেয়, গাড়ী পুড়ানো মামলা খায়, তাদের জন্যও তদবির করে, ওরা কোনদিন আওয়ামীলীগ হতে পারে না। এসময় নেতাকর্মীরা হাতে তালি দিয়ে এমপির বক্তব্যকে স্বাগত জানায়।

এসময় পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম কবিরের সঞ্চালনায় বিজয়ী সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী, ওয়ার্ড কান্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মোট ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বেনজির আহমদ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতীদ্বন্দী তারই এক শিষ্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩ এবং অন্য আরেক শিষ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. মালেক ট্রাক প্রতীকে ২১হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।